মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শন ও মুসলিমবিরোধী অবস্থানের প্রতিবাদে ফরাসি পণ্য-সামগ্রী বর্জনের ডাক দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইসলামের বিরুদ্ধে প্যারিসের বিতর্কিত অবস্থানের কারণে ন্যাটো
জোটের এই মিত্র দেশটির সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের অবনতির মাঝে আজ সোমবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এই ডাক দিয়েছেন।
এরদোয়ান বলেন, ফ্রান্সে বলা হয়েছে তুরস্কের লেবেলযুক্ত পণ্য-সামগ্রী কিনবেন না। আমি তুরস্কের সব নাগরিককে একই ধরনের আহ্বান জানিয়ে বলছি, কখনই কোনও ফরাসি ব্র্যান্ডকে সহায়তা করবেন না অথবা ফ্রান্সের লেবেলযুক্ত পণ্য সামগ্রী কিনবেন না।
তুরস্কের পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, তুরস্কের আমদানির দশম এবং রফতানির সপ্তম বৃহত্তম উৎস হলো ফ্রান্স। তুরস্ক যেসব পণ্য ফ্রান্স থেকে আমদানি করে সেসবের মধ্যে সর্বাধিক বিক্রিত অটো-সামগ্রী।
মুসলিমদের বিরুদ্ধে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর অবস্থানের সমালোচনাও করেন এরদোয়ান। এর আগে শনিবার তুর্কি এই প্রেসিডেন্ট বলেন, মুসলিমদের নিয়ে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সমস্যা আছে। এ জন্য ম্যাক্রোঁর মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা দরকার।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের এরদোয়ান এই মন্তব্যের পর আঙ্কারা থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে ফ্রান্স।
গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসের উপকণ্ঠে দেশটির এক স্কুল শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত কার্টুন শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের কারণে ক্ষুব্ধ ওই কিশোর স্কুল শিক্ষককে হত্যা করেন।
গতকাল রবিবার এক টুইট বার্তায় এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমরা কখনোই ইসলামী মৌলবাদীদের কাছে নতি স্বীকার করবো না।’ তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থনের নামে ইসলামবিরোধী ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শন ও বক্তব্যকে উসকানি দিয়ে বলেন, ‘আমরা বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য গ্রহণ ও যুক্তিযুক্ত মতামতকে প্রতিহত করি না।’
রোববার (২৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মহানবী (সা.) এর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশের
পর সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে ফ্রান্সের পণ্য, বিশেষ করে খাদ্যপণ্য বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাকও পড়েছে বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে।